ডন প্রথমেই পাঠকদের একটা কথা বলে নিতে চাই, যে অবিশ্বাস্য ইতিহাস আপনাদের শোনাতে যাচ্ছি, তার লেখক আমি নই—আমি সম্পাদক মাত্র। কি করে আমি জানতে পারলাম এ ইতিহাস, তা যদি না বলি, খচখচ করতে থাকবে আমার মনের ভেতর। বুঝি, পাঠকরা প্রতারক ভাবলেন আমাকে।
কয়েক বছর আগের কথা। কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়–ধরুন কেমব্রিজে (আসল নামটা গোপন রাখছি, নিজের কিছু কাজ উপলক্ষে এক বন্ধুর বাসায় কিছুদিন থাকতে হয়েছিলো। সে সময় একদিন বন্ধুর সাথে হাঁটছি রাস্তা দিয়ে। এমন সময় দেখি, দুজন লোক হাত ধরাধরি করে আসছে। এরকম তো কত লোকেই যায় আসে, কিন্তু ওদের কথা বিশেষ ভাবে আমার মনে গেঁথে গেল। কারণ ওদের একজন অসম্ভব সুপুরুষ। নির্দ্বিধায় বলতে পারি, জীবনে অমন সুপুরুষ আমি কখনো দেখিনি, সম্ভবত আর দেখবোও না। যেমন লম্বা তেমনি চওড়া। মর্দা হরিণের মাঝে যেমন দেখা যায়, অনেকটা তেমন অদ্ভুত এক শক্তি আর মহিমার আভাস তার চোখে-মুখে। অপূর্ব সুন্দর চেহারা, নিখুতনিভাঁজ মুখের ত্বক।