বই পরিচিতি
“দ্য প্রেসিডেন্ট ইজ মিসিং” বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
পেশাগতভাবে একমাত্র সেনাসদস্যরাই প্রতিনিয়ত মাতৃভূমি রক্ষার জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখে এবং যুদ্ধের সময় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত। তাই বিশ্বের সব দেশেই সেনাসদস্যদের আলাদা শ্রদ্ধা আর সম্মানের চোখে দেখা হয়। প্রত্যেক তরুণই স্বপ্ন দেখে তার দেশের সেনাবাহিনীর সৈনিক হওয়ার । আর তাই প্রতিবছর হাজার হাজার তরুণ সেনাবাহিনীতে ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে থাকে। কিন্তু সেনাসদস্য হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীর ভেতর কিছু বিশেষ মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক, আর রিক্রুটারদের কাজই হলাে হাজার প্রার্থীর ভিড়ে সেই বিশেষ মৌলিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রার্থীকে খুঁজে বের করা।
সঙ্গতকারণেই সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে ভর্তির পরীক্ষা অত্যন্ত প্রতিযােগিতামূলক। এজাতীয় প্রতিযােগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের পরিকল্পিত প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। এমন প্রস্তুতির জন্য উপযুক্ত সহায়িকার গুরুত্বও অপরিসীম। যেমন— বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য আছে বিসিএস ভর্তি গাইড, আবার কমিশন্ড অফিসারদের জন্য আছে আইএসএসবি গাইড। কিন্তু বাংলাদেশে সৈনিক পদে ভর্তির জন্য কোনাে গাইড বা সহায়িকা এখনাে আমার চোখে পড়েনি। তাই এমন একটি বইয়ের প্রয়ােজনীয়তা দীর্ঘদিন যাবৎ অনুভূত হয়ে আসছে। আমি নিশ্চিত এই বইয়ের কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক হতে আগ্রহী অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী তরুণ দারুণভাবে উপকৃত হবে।
লেখক পরিচিতি
পেশায় একজন সেনাসদস্য, তবে নেশায় একজন লেখক- ডেল এইচ খান সম্পর্কে এই বাক্যটি অত্যুক্তি হবে না। নিজের পেশাজীবনকে লেখালেখির সাথে যুক্ত করবার অন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। তাঁর লেখা ‘আধুনিক দৃষ্টিকোণে সানজুর দ্য আর্ট অব ওয়্যার’ বইটির জন্য তিনি অর্জন করেছেন সেনাপারদর্শিতা পদক।
অনলাইনে সিভি লেখার খুঁটিনাটির মতাে ব্যবহারিক জ্ঞান নিয়েও পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া একজন অভিজ্ঞ সেনাসদস্য হবার দরুন তিনি সেনাবাহিনীতে ভর্তিচ্ছুদের জন্য একটি ভর্তি সহায়ক বই ‘তােমাকেই খুঁজছে সেনাবাহিনী’ লিখেছেন, যা কি না বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে ভর্তি পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
প্রকৃত নাম মােঃ দেলােয়ার হােসেন হলেও পাঠকসমাজের কাছে তিনি ডেল এইচ খান নামেই সুপরিচিত। ১৯৭৯ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকা জেলায় জন্ম নেন ডেল এইচ খান। তার বইসমূহ মূলত ইতিহাসের বিভিন্ন বিখ্যাত যুদ্ধ, রণকৌশল, যােদ্ধাদের জীবনকাহিনী ইত্যাদিকে ঘিরেই রচিত। ব্যক্তিগত পছন্দের জায়গা থেকেই বইয়ের বিষয় নির্ধারণ করেন তিনি। তাঁর বইগুলাে অনেক বেশি বিশ্লেষণাত্মক; বাস্তব তথ্যকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে তিনি বিশ্লেষিত গ্রন্থ উপহার দেন পাঠকদের, বর্তমানে বিশেষ ঘরানার পাঠক জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর লেখার জন্য।