শুরুর অংশ:
যতই বয়স হচ্ছে ততই পরিষ্কার বুঝতে পারছি, প্রকৃতি নিজে এক মহা রহস্য তো বটেই, আমরা প্রত্যেকে সেই রহস্যের ভেতর আরও বড় রহস্য। ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময়ই এই রহস্য নিয়ে আমরা পৃথিবীতে আসি। এবং মৃত্যু হলে তুলে নেয়া হয় আমাদের সাথে আসা রহস্যটুকু। কিন্তু মৃত্যুর পর সব কোথায় যায় সেটা কী আরও বড় এক রহস্য নয়? অল্প বয়সে সব কিছুই মনে হয় খুব সহজ। একজন পুরুষকে বাবা আর একজন নারীকে পরম ভালবাসায় আমরা মা বলে ডাকি। তাদের মাধ্যমেই আমাদেরকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা। হয়। অথবা পৃথিবীকে তুলে ধরা হয় আমাদের সামনে। যেভাবেই চিন্তা করি না কেন, সবই যেন স্বর্গীয় এক মহা আয়োজনের ফসল। অন্তত এভাবে চিন্তা করতেই আমাদের শেখানো হয়েছে। আকাশের চাঁদ, সূর্য আর পায়ের নিচে মাটি, সবই, আমাদের বলছে রাতে ঘুমাতে যেতে হবে, সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠতে হবে। এমনকী এ-ও বলছে যে, অন্য সব কিছুর মত খাবারেরও একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। চাই, সে দিন-ই হোক বা হোক রাত। এমন অজস্র সব ব্যাপার নিরন্তর ঘটে চলেছে আমাদের চারপাশে। যার সবই “নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে শৃঙ্খলিত”। এর ভেতরই বাবা মা আর স্বর্গের ইচ্ছায় চলতে থাকে আমাদের জীবন। আর চলে সময়ের চাকা।