জানুয়ারি মাস। বিকেলটা ধীরে ধীরে সন্ধ্যার দিকে গড়াতে শুরু করেছে। বাতাস ঠাণ্ডা, স্থির… এমনই নিথর হয়ে আছে যে পাতাশূন্য গাছগুলোর একটা সরু ডালও নড়ছে না। সবুজ মাঠের ঘাসের উপর জমে আছে আধ-গলা তুষারের একটা সাদা স্তর, দূরে… কালচে আকাশের পটভূমিতে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে একসারি দেবদারু গাছ। সবচেয়ে লম্বা গাছটার উপরে উঁকি দিচ্ছে একটা নিঃসঙ্গ তারা। গাছগুলোর পাশ দিয়ে একটা রাস্তা চলে গেছে; আর ওখানেই দাঁড়িয়ে আছে অল্পবয়েসী এক তরুণ—ইতস্তত করছে, বার বার তাকাচ্ছে এদিক-সেদিক !
তরুণটির ডানে, একটু দূরে রয়েছে লোহার তৈরি আলিশান এক বিরাট ফটক- দু‘পাশের পাথুরে স্তম্ভদুটোর মাথা কালো মার্বেলে ঢাকা; তাতে শোভা পাচ্ছে একটা পারিবারিক প্রতীকচিহ্ন। ফটকের ওপাশে একটা চওড়া শান-বাধানো পথ চলে গেছে ভিতরদিকে, দু‘পাশে সারি বেঁধে দাঁড়ানো শানদার ওক গাছগুলো দেখলেই বোঝা যায়-চমৎকার আবহাওয়া, উদয়াস্ত পরিচর্যা এবং কয়েক শতাব্দীর চেষ্টা ছাড়া অমন গাছ পাওয়া সম্ভব নয়।