কাহিনি সংক্ষেপ
আমার ছেলেদেরকে কবে আর কখন খুন করলে ভালো হয়? ভাবলেন সুলতান সুলেইমান।
পারব কি কাজটা করতে?
আমার পিতা পেরেছিলেন। তার পর এই দায়িত্বটা তো আমার উপরেই বর্তায়। আমি কেন মুস্তাফার জন্য পিতা হিসেবে একই কাজটা করব না?
হ্যাঁ, শাহজাদা তো মুস্তাফাই। কিন্তু একবার সিংহাসনে বসার পর, রাতে শান্তির ঘুম ঘুমাতে চাইলে অন্য দাবীদারকে ওর হত্যা করতেই হবে। সেলিমকে হারাতে খুব একটা কষ্ট হবে না। কিন্তু ছোট্ট জাহাঙ্গীরের কী হবে? বাচ্চাটা তো মাছির কষ্টও সহ্য করতে পারে না! পঙ্গু ছেলেটা কার কী ক্ষতি করবে! ওকেও কী জল্লাদের হাতে তুলে দেব?
আর হুররেম, আমার মিষ্টি হুররেম; ওর কী হবে? মুস্তাফা সিংহাসনে বসার সাথে সাথে ওর মা হুররেমকে বসফরাসের পানিতে চুবিয়ে পারবে। আগেও একবার গুলবাহার ক্ষতি করতে চেয়েছিল রানির। এখন নাকি মোটা হয়েছে মুস্তাফার মা। মানিশায় বসে বসে হুররেমের নামে কুৎসা গেয়ে আর ওকে ডাইনী বলে গালি দিয়েই দিন কাটে এখন তার।
ওর কাছ থেকে আর যা-ই হোক, ক্ষমা আশা করা যায় না।
কী করব তাহলে আমি? আমার অন্য সন্তানদের খুন করব? নাকি সমস্যাটা মৃত্যুর সময় আমার বড় ছেলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেব?
আর যদি খুন করি, তাহলে কবে বা কখন করব?
আর ওদের মা, একমাত্র যে মেয়েটাকে আমি এ জীবনে ভালবেসেছি, তার-ই বা কী হবে?