বইয়ের অংশ:
ভারি মেঘের ভেতর দিয়ে বিশাল সেভেন থ্রি সেভেন প্লেনটা হামবুর্গ এয়ারপোর্টের দিকে এগুচ্ছিল। আমি তখন ভেতরে সিটবেল্ট বাঁধা অবস্থায় বসে আছি। নভেম্বরের শীতল বৃষ্টিতে চারপাশ ভেজা স্যাতস্যাতে, সবকিছু কেমন যেন বিষন্ন। এয়ারপোর্টের বিল্ডিঙে উড়তে থাকা পতাকা, রেইনকোট পরা গ্রাউন্ড ক্রু, বিএমডাব্লিউ’র বিলবোর্ড। আবার সেই জার্মানিতে। আমার বয়স তখন সাঁইত্রিশ। এ প্লেন যখন পুরোপুরি মাটিতে নেমে গেল, সিলিঙের স্পিকারগুলো থেকে মিষ্টি একটা সুর ভেসে আসলো। বিটলস-এর নরওয়েজিয়ান উড-এর একটি অর্কেস্ট্রা কাভার। এই মিউজিকটা আমি যতবারই শুনি প্রতিবার কেঁপে উঠি। এবার যেন একটু বেশিই ধাক্কা খেলাম।
মাথার ভেতরটা মনে হচ্ছিল যেন দু-ভাগ হয়ে যাচ্ছে। সিটটাকে পেছনে বাঁকিয়ে তাই হাতের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। একজন জার্মান স্টুয়ার্ডেস এসে জানতে চাইলো আমার শরীর খারাপ লাগছে কিনা।