বই পরিচিতি
কন্যা-জায়া-জননী। একজন নারীকে সমাজ কিছু অভিধা দেয়। কখনাে কখনাে সমাজের দুষ্টক্ষত যখন দগদগে ঘায়ে পরিণত হয়। সেখানে থেকে একজন নারীর কলংকিত পরিচয়ও তৈরি করা হয়। যখন কোনাে নারী সফল হয় তার পরিমাপ হয় নারীত্ব দিয়ে, যখন কেউ ঝরে পড়ে তার পরিচয় হয় সতীত্ব দিয়ে।
সমাজের ঘাত-প্রতিঘাত আর পােড় খাওয়া একটি নারীর চারপাশ ঘিরে থাকে কিছু নারীরূপী ডাইনি আর পুরুষরূপী দাঁতাল সরীসৃপ। এই উপন্যাসে তনয়া নামের মেয়েটি বাংলাদেশী লাখাে তন্বী তনয়ার প্রতিনিধি হিসেবে এসেছে। সমাজের চোরাবালি তাকে নিয়ে যায় জীবনের চোরাগলিতে। সেখানে শকুনেরা ছিড়ে খায় মানুষের সুখ আর স্বপ্ন। যে মেয়েটি হতে পারত এই পৃথিবীর আলােক বাগানের একটি বাতি। তাকে বানানাে হয় নােংরা আনন্দের বাটখারা, বিকৃত সুখ লেহন করে নেয় পাশবিক উল্লাসে। চারপাশের নােংরা কীটরাই যেন হয়ে উঠে মাংসাশী চৌপদী। ঘুপচি গলির নােংরা প্রেষণে পিষ্ট হওয়া একটি মেয়ে কি চাইতে পারে না বেরিয়ে আসতে অমন করাল থাবা থেকে? চারপাশের স্যাঁতস্যাঁতে দেয়াল তার বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। যে দেয়াল আমরা সব সময় জেনে না। জেনে চাষ করি আমাদের অন্দরে বাহিরে। কখনাে রক্ষক দেখা দেয়া বুভুক্ষ ভক্ষকের অসুররূপে। এই নিশ্চিদ্র নরকের নারকীয় চক্র থেকে তনয়া কি পারবে নিজেকে বের করে আনতে? অথবা লাখাে তনয়ার জন্য বের হওয়ার পথ খুঁজে দিতে…