বই পরিচিতি
আমি আমার জীবনে দেখেছি একজন মানুষকে দিয়ে সত্যিকারের কোনো কাজ করিয়ে নিতে হলে তাকে কিন্তু টাকা পয়সা বা সম্মানী দিতে হয় না। তাকে উৎসাহ দিতে হয় (এ জন্যে যখন কোনো বড় কাজ করতে হয় আমি ভলান্টিয়ার খুঁজি)। কিন্তু উৎসাহ দেয়ার জন্যে মানুষটাকে খুঁজে পেতে হয়। যার সাথে আমার দেখাই হয়নি তাকে আমি উৎসাহ দেব কেমন করে? তখন দরকার রাগিব হাসানের ‘মন প্রকৌশল’ ধরনের বই। পৃথিবীর সব দেশেই এ ধরনের বই আছে— আমাদের দেশে সেভাবে আমার চোখে পড়েনি। এর অভাব খানিকটা দূর হল।
বইটা পড়ে এক ধরনের অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। মন প্রকৌশল শব্দটা কটমটে মনে হতে পারে কিন্তু বইটা মোটেই কটমটে নয়, খুব গুছিয়ে লেখা হয়েছে। স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে, নিজেকে বদলে দেবার কথা বলা হয়েছে, ঘুরে দাঁড়ানো মানুষদের কথা বলা হয়েছে। অসংখ্য উদাহরণ দেয়া হয়েছে, অসংখ্য গল্প বলা হয়েছে। আমি নিজে এই বয়সে অনেকগুলো গল্প বা ঘটনার কথা পড়ে নিজের ভেতর এক ধরনের উত্তেজনা অনুভব করছি, সাহস পেয়েছি কাজেই ধরে নিচ্ছি অন্যেরাও পাবে।
বইটির নামে যেহেতু প্রকৌশল বা ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দটা আছে তাই রাগিব হাসান সত্যিকারভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্যে ছোট ছোট ধাপগুলো পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে। আমাদের তরুণদের কিছু বাঁধাধরা সমস্যা আছে সেই সমস্যাগুলোর কথা বলা আছে। হতাশ হয়ে যাওয়া সেই তরুণদের কেউ না কেউ নিশ্চয়ই এই বইটা পড়ে এক ধরনের শক্তি পাবে, এক ধরনের সাহস পাবে, নিজের ভেতর অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবে।