শুরুর অংশ:
সোনেলা আলো নয়, আগুনের চাবুক দিয়ে ট্রান্সভাল শাসন করছে সূর্য। সেই অত্যাচারে উৎসাহিত হয়ে শরতের স্বাভাবিক আবহাওয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে দাবদাহ, বাতাস তাই গনগনে। কয়লার মতো তপ্ত আকাশে পা দিতে ভয় পাচ্ছে মেঘ। প্রকৃতি ভুলে গেছে বৃষ্টিকে। কলির আশ্রয় ছেড়ে দুয়েকটা লিলি বোকার মতো উঁকি দিয়েছিল এদিকে-সেদিকে, নির্দয় উত্তাপের কাছে ধর্ষিতা হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে এখন। অনাচার সইতে না পেরে মিইয়ে গেছে চওড়া রাস্তাটার দু‘ধারের ঘাস। উড়ে এসে জুড়ে বসা ধুলো ঢেকে দিয়েছে সেগুলোর সবুজ রঙ। দূরে ঘূর্ণি উঠছে একটু পর পর। অসংখ্য মাটির কণা একটানে উঠে যাচ্ছে আকাশে, তারপর আছড়ে পড়ছে দিগন্তে। সাষ্টাঙ্গ প্রণিপাতে নরক মেনে নিয়েছে ট্রান্সভালের শ্রেষ্ঠত্ব। চওড়া রাস্তাটাৰ নাম ওয়াকারস্ট্রম। সেটা ধরে এগিয়ে চলেছে একটা ঘোড়া। রোদের তেজ সইতে না পেরে ধুকছে। সওয়ারি মজবুত গড়নের এক লোক। বয়স ত্রিশের কিছু বেশি। সুদর্শন চোখের মণিদুটো নীল, গালে খোঁচা খোঁচা লালচে দাড়ি।