ইদানীংকালের যুগ হচ্ছে মোটিভেশনের যুগ। প্রচুর মোটিভেশন গেলা হচ্ছে, গেলানো হচ্ছে। ফেসবুক, ইউটিউবে তো রীতিমতো টিকেট কেটে মোটিভেশন এর সেশন চলছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিবিধ মোটিভেশন এর স্যাম্পলগুলো অনেকটা এরকম –
তুমি পারবে। তুমিই পারবে।
তোমাকে কেবল বিশ্বাস করতে হবে তুমি পারবে।
স্বপ্ন দেখো, জেগে, ঘুমিয়ে, দাঁড়িয়ে, বসে শুয়ে তুমি স্বপ্ন দেখো।
তোমাকে সফল হতে হবে, সফল হতে হলে সিক্স ডিজিট স্যালারি পেতে হবে।
একবার সফল হয়ে দেখো, তারপর খালি সুখ আর সুখ আর সুখ।
মুশকিল হচ্ছে, এই বিশ্বাস, এই স্বপ্ন কিছুই মূল কাজ বা সফলতার আগের আর পরের অংশটা বলে। সুপারফিশিয়াল কথাবার্তা। ধরি মাছ না ছুই পানি টাইপ। আসলে আপনারে আমারে যে ‘খাইটা খাইতে’ হবে, আসলে যে এই সফলতার কোনো শর্টকাট নেই এই কথাগুলা আপনি খুব কম শুনবেন। এগুলো বললে মোটিভেশন গুরুদের বাজারে টান পড়বে।
এই সেন্সে ‘একটা কিছু করো প্লিজ…’ বইটাকে ঠিক মোটিভেশনাল বই বলা যায় না। একে বলতে হয় ডিমোটিভেশনাল বই। আপনাকে একটা কিছু করতে হবে। আত্মবিশ্বাস, স্বপ্ন, নেটওয়ার্কিং সব কিছুই জরুরি। কিন্তু দিনশেষে আপনি ‘কামডা কি করেন’ সেটা ম্যাটার করে এবং সেটা আপনাকে করতে হবে। ঠিকঠাক করতে হবে।
একটা দেশের ইয়াং জেনারেশনের জন্য ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমি কোলাবরেশন খুব জরুরি। বিজনেস সেক্টরে এই মুহূর্তে যিনি বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়ার যোগসূত্র নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন তিনি সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আবদুল হামিদ।
প্রযুক্তির সুবিধায় যখন মুহূর্তে দুনিয়ার যেকোনো প্রান্তে যোগাযোগ করতে পারছেন, যেকোনো লার্নিং ম্যাটেরিয়াল হাতে পাওয়ার সুবিধা আছে, আপনার শরীর চলছে, ঘাড়ের উপরে মাথাটাও সচল, তখন কি না আপনার কিচ্ছু করার নেই, চাকরি নেই, কাজ নেই!!! এর থেকে বড় দুঃখ কী হতে পারে?
একটা কিছু করুন। সেই একটা কিছু করার জন্য, করানোর জন্য হলেও পড়ুন ‘একটা কিছু করো প্লিজ…’