বইয়ের অংশ:
অধ্যায় ১
বিছানায় উঠে বসে ঘড়ির দিকে তাকালাম। ৩:৩১। শুক্রবার, ২৬শে ফেব্রুয়ারি। তাপমাত্রা-ছাব্বিশ ডিগ্রি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। কিন্তু কী যেন একটা সমস্যা মনে হচ্ছে ঘড়িটায়। একটু বাঁকা হয়ে। আছে, আর টেবিলের একদম কিনারার কাছে চলে এসেছে ওটা। কয়েক সেকেন্ড লাগলো কারণটা বুঝতে। ঘড়ির ঠিক পেছনটাতে একটা ছোঁট্ট সাদা থাবা দেখতে পেলাম। আমাদের পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আর্চি। কমলা আর সাদার মিশেলে তুষারের বলের মত লাগে ওকে। এখন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এরপর থাবাটা বাড়িয়ে দিল ঘড়ির দিকে। “ফেলবি না!” চিল্লিয়ে উঠলাম। তিন সপ্তাহ আগে আমাদের বাসায় আগমন ঘটেছে আর্চির। তখন থেকে তিনটা ওয়াইন গ্লাস, দুটো ছবির ফ্রেম, ইনগ্রিডের পছন্দের কফি মগ আর একটা স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিক্স ভেঙেছে ও। কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো আর্চি, এরপর আবার থাবা বাড়িয়ে দিল সামনে। “খবরদার, আর্চি!” আবার তাকিয়ে থাকলো আমার দিকে। এরপর আরেকটা ধাক্কা। “আরেকবার ধাক্কা দিলে কিন্তু ভালো হবে না। সাথে সাথে আবার ধাক্কা দিল ব্যাটা। মেঝেতে পড়ে গেল ঘড়িটা। “ধুর, আর্চি!” বিছানা থেকে নেমে ঘড়িটা তুললাম। ওটার এলসিডি স্ক্রিনটা ফেটে গেছে।