বই পরিচিতি
গল্পটা একজন মৃত্যুপথযাত্রীর। ঠিক ১০ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড পর লেইলা নামের মেয়েটা পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ছুটতে শুরু করবে উর্ধ্বপানে।
না, ভুল বললাম। লেইলা নয়, ওর নাম টাকিলা লেইলা।
জি, নিশ্চিত হয়েই বলছি। আমাদের গল্পটা টাকিলা লেইলার জীবনের গল্প।
ভ্যান নামক ছোট্ট এক শহরে জন্ম মেয়েটার। পারিবারিক অশান্তি আর যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে অতিষ্ট লেইলা বাড়ি ছেড়ে পালাল ইস্তানবুল। সুখ বলতে যে কী বোঝায়, জানতেই পারল না। ভাগ্যের ফেরে হয়ে গেল যৌনকর্মী।
জীবনের বাঁকে জুটে গেল পাঁচজন বন্ধু, ঘরও বাঁধা হলো ভালোবাসার মানুষের সাথে। একদিন সবকিছু চোখের নিমেষে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল। মৃত্যুর সময়টায় জীবনের এই দৃশ্যগুলোই ধরা পড়ল নানা স্বাদে, বর্ণে, গন্ধে।
জামিলা, জয়নাব, হুমেইরা, নালান আর সিনান। গভীর রাতে পিকআপ চুরি করে কিলিয়োসের নিঃসঙ্গ সমাধিক্ষেত্রে কী করতে এসেছে ওরা? বসফরাসের বুকে নীলরঙা মাছটার সাথে সাঁতার কাটল কে?
‘দ্য বাস্টার্ড অফ ইস্তানবুল’ এবং ‘দ্য আর্কিটেক্ট’স অ্যাপ্রেন্টিস’র পর এলিফ শাফাকের চোখে আরও একটুকরো ইস্তানবুলের দেখা পাওয়া গেল এই আখ্যানে। আগের চেয়েও শক্তিশালী, আগের চেয়েও অসাধারণ।