ফ্ল্যাপের লেখাঃ
১৯৬৫ সাল। মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেল ল্যাবসের দুজন বিজ্ঞানী—আর্নো পেনজিয়াস ও রবার্ট উইলসন। কিন্তু একটা রহস্যময় সংকেত তাঁদের কাজে বারবার বাধা সৃষ্টি করছিল। অনেক চেষ্টাতেও সেই একঘেয়ে হিসহিসে সংকেতটা দূর করতে পারলেন না দুই বিজ্ঞানী। বিরক্তি আর হতাশায় মাথার চুল ছেঁড়ার মতো অবস্থা দাঁড়াল তাঁদের। একসময় জানতে পারলেন, অনেক দিন ধরে ঠিক এই সংকেতটাই খুঁজছেন জ্যোতির্বিদেরা। দুর্ঘটনাক্রমে সেটাই আবিষ্কার করে বসেছেন পেনজিয়াস ও উইলসন। সংকেতটাকে বলা হয় কসমিক ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন বা মহাজাগতিক পটভূমি বিকিরণ, যাকে বলা হয় মহাবিস্ফোরণের ফসিল। মহাবিশ্বের প্রথম আলো। মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের সবচেয়ে জোরালো প্রমাণ।
এই আবিষ্কার বিশ শতকে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল জ্যোতির্বিজ্ঞান তথা কসমোলজির। কসমিক ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশনের সেই যুগান্তকারী আবিষ্কার এবং এর সঙ্গে জড়িত একদল বিজ্ঞানীর কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ে। এই বিজ্ঞানীরাই যুগ যুগ ধরে তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলেন এর পেছনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এ বই সেসব আবিষ্কারের কাহিনি, একই সাথে আমাদের মহাবিশ্বের কাহিনিও বটে। মহাবিশ্বের রহস্য উদ্ঘাটন করতে চাওয়া অদম্য একদল বিজ্ঞানীর গভীর অনুসন্ধানের প্রায় অনুপুঙ্খ বিবরণ রয়েছে এ বইয়ে।
ব্যাক কভারঃ
দুর্ঘটনাক্রমেই গত শতাব্দীর মাঝামাঝি দুই মার্কিন বিজ্ঞানী পেনজিয়াস ও উইলসন আবিষ্কার করেন কসমিক ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন। একে বলা হয় মহাবিশ্বের প্রথম আলো। মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের সবচেয়ে জোরালো প্রমাণ। এই আবিষ্কার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে কসমোলজির। এ বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে সেই আবিষ্কার এবং এর সঙ্গে জড়িত একদল বিজ্ঞানীর আপ্রাণ প্রয়াসের প্রায় অনুপুঙ্খ বিবরণ। বস্তুত, বহু যুগ ধরে তিলে তিলে গড়ে ওঠা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা আবিষ্কার এবং সেই সঙ্গে আমাদের মহাবিশ্বেরও বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এ বইয়ে। মহাবিশ্বের রহস্য উদ্ঘাটন করতে চাওয়া অদম্য একদল বিজ্ঞানীর গভীর অনুসন্ধানের কাহিনিও বলা চলে এ বইকে।